Dinajpur Board ICT 2024 Question with Solution
শিক্ষক সংখ্যাটিকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে দেখালেন। তিনি আরও বললেন, ০ ও ১ সংখ্যা পদ্ধতি দ্বারা কম্পিউটার ডিজাইন নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়।
খ. 18 কি একটি অক্টাল সংখ্যা?
গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত সংখ্যাটিকে কম্পিউটারের বোধগম্য সংখ্যায় রূপান্তর করো এবং ১০১১১ এর সাথে যোগ করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সংখ্যা পদ্ধতিটি কম্পিউটার ডিজাইনে ব্যবহারের কারণ বিশ্লেষণ করো।
বুলিয়ান অ্যালবেজরায় মৌলিক কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য যে ইলেকট্রনিক বর্তনী ব্যবহার করা হয় তাই লজিক গেইট।
18 সংখ্যাটি অক্টাল হতে পারে না। কারণ অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয়। প্রতীকগুলো হলো- 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6,7। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৪ ব্যবহৃত হয় না। সুতরাং, 18 সংখ্যাটি অক্টাল সংখ্যা নয়।
উদ্দীপকে উল্লিখিত সংখ্যাটিকে কম্পিউটারের বোধগম্য সংখ্যা অর্থাৎ বাইনারি পদ্ধতিতে রূপান্তর করা হলো-

এখন,

উদ্দীপকে বর্ণিত সংখ্যা পদ্ধতিটি হলো বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য দুইটি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অঙ্ক হলো ০ এবং ১। নিচে কম্পিউটার ডিজাইনে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহারের কারণ বিশ্লেষণ করা হলো-
কম্পিউটার কাজ করে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের সাহায্যে। অর্থাৎ ডিজিটাল সিগন্যালে 0 কে OFF এবং 1 কে ON হিসেবে বিবেচনা করলে সহজে বোঝা যায় বিধায় ডিজিটাল ডিভাইস ও কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। বাইনারি সংকেত ০ ও। কে খুব সহজে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল বুঝতে পারে ও কার্যপদ্ধতি সম্পাদন করে। কিন্তু ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের সাহায্যে দশমিক সংখ্যার দশটি (0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9) ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা প্রকাশ করা সম্ভব হলেও তা খুব কঠিন ও ব্যয়বহুল। তাই কম্পিউটার ডিজাইনে বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
Dinajpur Board ICT 2024 Question with Solution
খ. "রেজিস্টার ও মেমোরি এক নয়"- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের, ব্লক চিত্র: ১ এর আলোকে উল্লিখিত কাউন্টারটি চিত্রসহ বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের ব্লক চিত্র: ২ এর বর্তনীর সত্যক সারণি ও সমীকরণ বিশ্লেষণ করো।
কোনো বাইনারি সংখ্যার। এর পরিপূরকের সাথে। যোগ করে যে বাইনারি সংখ্যা গঠন করা হয় তা হলো সংখ্যাটির 2 এর পরিপূরক।
রেজিস্টার হলো ফ্লিপ-ফ্লপের সমন্বয়ে তৈরি ডিজিটাল বর্তনী। সীমিত সংখ্যক ডেটা ধারণের জন্য রেজিস্টার ব্যবহার করা হয়। CPU বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের সময় অস্থায়ীভাবে রেজিস্টারে ডেটা সংরক্ষণ করে থাকে। রেজিস্টারে অস্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ করা যায় কিন্তু মেমোরিগুলোতে ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়াও রেজিস্টারে ডেটা অ্যাকসেস মেমোরির থেকে অনেক দ্রুত হয়। তাই বলা যায় রেজিস্টার ও মেমোরি এক নয়।
উদ্দীপকের ব্লকচিত্র ১ হলো রিপল কাউন্টার। রিপল কাউন্টার হলো এক ধরনের অ্যাসিনক্রোনাস কাউন্টার। যে কাউন্টারে একটি ফ্রিপ-ফ্লপের আউটপুট অন্যটির ক্লক পালস হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস কাউন্টার বলে। অ্যাসিনক্রোনাস কাউন্টারের মধ্যে সরলতম কাউন্টার হলো বাইনারি রিপল কাউন্টার। এই কাউন্টারে প্রত্যেকটি ফ্লিপ-ফ্লপ তার আউটপুট দ্বারা পাশের ফ্লিপ-ফ্লপকে Triggering করতে সাহায্য করে। n বিট বাইনারি রিপল কাউন্টার n সংখ্যক ফ্লিপ-ফ্লপ দ্বারা গঠিত। যেখানে ফ্লিপ-ফ্লপ সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করে এবং একটি আউটপুট অন্যটির ইনপুট হিসেবে কাজ করে।
রিপল কাউন্টার এর চিত্র নিম্নরূপ:

উদ্দীপকের ব্লকচিত্র-২ হলো ফুল অ্যাডার। যে সমন্বিত বর্তনী ক্যারিসহ দুটি বিট যোগ করে তাকে ফুল অ্যাডার বা পূর্ণ যোগ কারক বর্তনী বলে। উদ্দীপকের ফুল অ্যাডারে ইনপুট ৩টি যথাক্রমে A, B, C ও আউটপুট ২টি, একটি S অপরটি ক্যারি Cout। তাহলে ফুল অ্যাডারে ইনপুট ৩টি হলো- A ও B এবং অপরটি C (ক্যারি) এবং আউটপুট দুটির একটি S অপরটি Cout। ফুল অ্যাডারের সত্যক সারণি নিম্নরূপ।

সত্যক সারণি থেকে ফুল অ্যাডারের সমীকরণ লেখা যায়,